,

নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি- স্পীকার ড. শারমিন চৌধুরী

সময় ডেস্ক ॥ অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি বলে অভিহিত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন,সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হলো সংসদ। সামনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি। আর অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। গতকাল রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু’তে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘ফোরাম অব ইলেকশন
ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়ার (ফেমবোসা)’ দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে স্পীকার বলেন, শক্তিশালী গণতন্ত্র চর্চায় আরপিও ও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা অন্যতম প্রধান শর্ত। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করাই ফেমবোসা’র মূল লক্ষ্য। স্পীকার আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। সে কারণে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারিগরি উদ্ভাবনী, ওয়েরসাইট ডিজাইন, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। ফেমবোসার এ ধরনের সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়া দেশগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক জ্ঞান লাভে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত আটটি দেশের নির্বাচন কমিশনার ও তাদের প্রতিনিধিরা রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত নবম ফেমবোসা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্থান, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের মোট ২১ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন এই সম্মেলনে। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ফেমবোসা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ও ফেমবোসার বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. গোলাজান এ. বাদি সাইদ এবং বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বক্তব্য রাখেন। এর আগে, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। এ সময় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নবম ফেমবোসার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ভোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, ভুটানের নির্বাচন কমিশন সচিব দাউয়া তানজিন, ভারতের নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত এশাথ শান শাকির, নেপালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা. আইয়োদী প্রাশাদ জাদেভ, পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার শাহ ফয়সাল কাকার, শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান মাহিন্দ্রা দেশাপ্রিয়াসহ বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে ফেমবোসা। এরপর এই ফোরামের দেশগুলোর নামের অদ্যাক্ষরের ক্রম অনুযায়ী ২০১১ সালে পাকিস্তান, ২০১২ সালে ভারত, ২০১৩ সালে ভুটান, ২০১৪ সালে নেপাল, ২০১৫ সালে শ্রীলংকা, ২০১৬ সালে মালদ্বীপ ও ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে সংস্থাটির বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নামের বর্ণক্রমে ঘুরে এসে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর